এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে চালের দাম। ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। প্রতি বস্তায় বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। চট্টগ্রামে আরো চড়া চালের বাজার। বাড়তি দাম ভোজ্য তেলেও। এমন অবস্থায়-পাইকাররা বিশ্ববাজারকে দুষলেও-ক্রেতারা বলছেন সিন্ডিকেট কারসাজি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ – ক্যাব বলছে- পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাজারের ওপর বাড়াতে হবে সরকারের নজরদারি।
দ্রব্যমূল্যের বাজারে স্বস্তি নেই দীর্ঘদিন ধরে। পন্যের দামের কাছে অসহায় ভোক্তাসাধারন। যেখানে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া যেন কিছু করার নেই ক্রেতাদের।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম পাহাড়তলী ও চাক্তাই চালপট্টি। চালের সরবরাহ থাকলেও নানান অজুহাতে পাইকারিতে বস্তাপতি দাম বেড়েছে ২শ থেকে ৩শ পর্যন্ত। ভারত থেকে সিদ্ধ চাল আমদানি হলেও আতপ চালের আমদানি না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট।
রাজধানী ঢাকার বাজারেও এক মাস আগে যেখানে এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকার আশেপাশে, সেখানে এখন সেই চালের দাম হাকা হচ্ছে ৩ হাজার ১০০ টাকা। অন্যদিকে-লাগামহীন ভোজ্যতেলের দামও। গেল সেপ্টেম্বরে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা। এখন এই তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা।
এমন বাজার পরিস্থিতির বাস্তবতায়-তদারকির কোন বিকল্প দেখছেন না ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অর্থনীতিবিদরা।
বাজারে এমন যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছেন। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে-বাজারের ওপর যেকোন মূল্যে সরকারের নিয়ন্ত্রন জরুরী।
নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে জড়িত সিন্ডিকেটকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি আসছে ভোক্তাদের পক্ষ থেকে